বিশ্বকাপ চলাকালীনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন ভারতের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার যুবরাজ সিং। আজ সোমবার মুম্বাইয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে অবসরের নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন ৩৭ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার।
সম্মেলনে যুবরাজ বলেন, ‘অসংখ্য ক্রিকেট ভক্তের ভালোবাসা পেয়েছি। পরিবারকে সব সময় পাশে পেয়েছি। ভারতের হয়ে অনেক ম্যাচ খেলেছি। ন্যাটওয়েস্ট থেকে ২০১১ বিশ্বকাপ, একাধিক ম্যাচ সারা জীবন আমার মনে থাকবে। মনে থাকবে ২০০০ সালে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয়।’
মরণব্যাধি ক্যান্সার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন আমি আর ফিরতে পারব না। কিন্তু চিকিৎসক ও পরিবার সব সময় পাশে থেকেছেন আমার। আমি ফিরতে পেরেছি। তাই এবার সমাজের ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য কিছু কাজ করতে চাই।’
২০১৭ সালে শেষবার ভারতের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছিলেন যুবরাজ। শেষ টেস্ট খেলেছেন ২০১২ সালে। চলতি বছরের আইপিএল-এও প্রায় অবিক্রিত ছিলেন তিনি। পরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তাকে কেনে একেবারে বেজ প্রাইসে। ৪টি ম্যাচ খেলেন। একটি হাফ সেঞ্চুরি-সহ ৯৮ রান করেন তিনি আইপিএল-এ।
ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (বিসিসিআই) এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পিটিআই জানায়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা ভাবছিলেন যুবরাজ। অবসর নিলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকেও।
বিসিসিআই’র আরেক কর্মকর্তা বলেন, ‘উনি (যুবরাজ সিং) জিটি২০ (কানাডা), ইউরো টি২০, হল্যান্ডে বা আয়ারল্যান্ডে ফ্রিল্যান্স কেরিয়ার নিয়ে বিস্তারিত বিসিসিআইকে জানাতে পারেন। কারণ আইসিসি অনুমোদিত ফরেন টি২০ লিগে খেললে, বিসিসিআই-এর অনুমতি নিতে হয়।’
সম্প্রতি ইরফান পাঠান বিসিসিআই’র অনুমতি না নিয়েই ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে নাম নথিভূক্ত করেন। এরপরই ইরফানকে নাম তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় বিসিসিআই।
সেক্ষেত্রে বিসিসিআই’র ওই কর্মকর্তার বক্তব্য, ‘যুবরাজও বিদেশি টি২০ লিগে খেলতে পারবেন কিনা, তা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। এমনকি যদি তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে অবসর নেন, তা হলেও টি২০ প্লেয়ার হিসেবে বিসিসিআই’র রেজিস্টার্ড প্লেয়ার। আইনটি খতিয়ে দেখা হবে।’